শঙ্কর মণ্ডল, ২৬ জানুয়ারি: একদিকে বাগদেবীর আরাধনা ও অন্যদিকে ৭৪ তম সাধারণতন্ত্র দিবস। আজ একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক কাজ দেখে, এর প্রতিবাদ না করে পারলাম না। হ্যাঁ, বিষয়টি হল রাজ্যপালের হাতেখড়ি শীর্ষক কর্মসূচি নিয়ে। কারণ এই হাতেখড়ি সম্বন্ধে আমরা এতকাল জেনে এসেছি, ছোটবেলায় প্রথম অক্ষরজ্ঞান শুরু হওয়ার আগে দেবীর কাছে হাতেখড়ি হয়। একটি বিশেষ ভাষা শেখার জন্য এই শব্দ ব্যবহার হয় না। 
এইরকম প্রতিনিয়তই অনেকে বিভিন্ন ভাষা শেখেন। প্রয়াত সুষমা স্বরাজ যখন কর্ণাটকের বেলারি কেন্দ্র থেকে সনিয়া গাঁধীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন, তখন উনিও কর্নাটকের ভাষা শিখেছিলেন। আসলে এই হাতেখড়ি নামক কর্মসূচি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আর দিনের শেষে তা প্রমাণিত। নন্দিনী দেবীর লিখে দেওয়া বক্তব্য পাঠ করলেন রাজ্যপাল। আমার বিশ্বাস রাজ্যপাল এর মানে না বুঝেই পাঠ করেছেন। তা নাহলে এই ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উনি ব্যবহার করতেন না। ভোটের পর তৃণমূলের সন্ত্রাস সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে যে কেন্দ্রীয় টিম এসেছিল, মাননীয় রাজ্যপাল সেই টিমের সদস্য ছিলেন। সুতরাং তৃণমূলের নোংরা রাজনীতির স্বীকার হচ্ছেন এই সি ভি আনন্দ বোস। সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। 
আর একটি বিষয় উল্লেখ করতে চাই, সেটা হল সঙ্গীত শিল্পী রশীদ খানকে সরস্বতী বন্দনা করতে দেখে। কারণ দেবী সরস্বতী বন্দনা কখনও একটি ধর্মের নয়। তা তিনি প্রমাণ করলেন। সেই সঙ্গে চারিদিকে যারা সরস্বতী বন্দনা বন্ধ করার চেষ্টা করছে কেবল ধর্মীয় কারণে, তাদের গালে সজোড়ে থাপ্পড় হল রশীদ খানের সরস্বতী বন্দনা।
							previous post
						
						
					
							next post
						
						
					