November 1, 2025
সাহিত্য

দুশ্চিন্তা মুক্তি

মৃন্ময় ভট্টাচার্য

হঠাৎ গভীর রাতে দেখি ঘরে কে যেন টর্চ হাতে কিছু খোঁজাখুঁজি করছে! সবে শীত পড়েছে, বারান্দার দিকের সব জানালা দরজা বন্ধ, শুধু ছেলের ঘরের দরজাটা খোলা থাকে। কিন্তু টর্চের আলোর প্রতিফলনে বোঝা যাচ্ছে এ আমার পুত্র নয়, কারণ পুত্র অনেক লম্বা। তাহলে! চোর ঢুকবে কোথা দিয়ে? কোনো দরজা কি ভুল করে খোলা ছিল, নাকি দরজা ভেঙেই ঢুকেছে! স্থির দৃষ্টিতে নজর রেখে চলেছি, হঠাৎ টর্চের আলোটা তার মুখে পড়তেই বোঝা গেল, এ অন‍্য কেউ নয় আমার প্রিয়তমা। যাকগে,নিশ্চিন্তে পাশ ফিরে আবার নাসিকা গর্জনে মন দিলাম।

সকালে ঘুম ভাঙলো একটু দেরীতে। ঘরে টিউব লাইট জ্বলে উঠেছে, বিছানায় আমি একা, আর বৌয়ের মাথার বালিশের পাশে পাঁউরুটি, দু-তিন ধরণের বিস্কুট সহ শুকনো খাদ‍্যসামগ্রী!

খুবই দুশ্চিন্তার ব‍্যাপার, মাথাটা খারাপ হয়ে গেল নাকি! আজই মানসিক ডাক্তার কোথায় বসেন তার খোঁজ করতে হবে। এই কথা ভাবতে ভাবতেই তিনি ঘরে এলেন, আমি ভয়ে স্থির হয়ে গেলাম।
স্ত্রীর করুণ আবেদনের কন্ঠস্বর “কিছু একটা করো, ইঁদুরের জ্বালায় সারারাত ঘুমাতে পারিনি “।
যাক বাবা এযাত্রায় ইঁদুরই আমাকে দুশ্চিন্তা মুক্ত করলো।

Related posts

Leave a Comment